শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাতের তালুতে রোজ পেঁয়াজ ঘোষুন! কার্যকারীতা!

এই লেখাটি একবার পড়ে নিলে দেখবেন আর পকেট হলকা হবে না। কীভাবে? এখন নিশ্চয় হলকা-ভারি যে কোনও রোগেই ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে লাইল লাগান। কম করে ৫০০ খানিক টাকার প্রসাদ কিনে বাড়ি ফিরে তবেই রোগ থেকে মুক্তি মিলে। কি তাই তো? এবার থেকে আর ৫০০ টাকা খরচ করতে হবে না। বাড়ি বসেই একাধিক রোগের খেল খতম হয়ে যাবে। তবে তার জন্য ফ্রিজে বেশ কয়েকটি পিঁয়াজ থাকা জরুরি।

পিঁয়াজ! একেবারেই। জানেন কি এই সবজিটির শরীরে এমন কিছু উপাদান আছে, যা শরীরে সংস্পর্শে এলে রোগের জ্বালা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে পেঁয়াজ খেতে হবে না। বরং হাতের তালুতে ঘষতে হবে। একেবারেই ঠিক শুনেছেন! একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে পিঁয়াজে উপস্থিত কিউয়ারসেটিন নামক একটি উপাদান হাতের মাধ্য়মে শরীরে প্রবেশ করলে বেশ কিছু রোগ নিমেষে সেরে যায়। যেমন ধরুন…

১. পুড়ে গলে বাঁচায়: রান্না করতে করতে হাত পুড়িয়ে ফেলেছেন? কোনও চিন্তা নেই একটু পিঁয়াজ কেটে ক্ষতস্থানে কিছুক্ষণ ঘষে ফেলুন তো। দেখবেন জ্বালা-যন্ত্রণা কমে গেছে। আসলে পিঁয়াজে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদানে অ্যান্টিসেপটিক প্রপাটিজ রয়েছে, যা এই সব ক্ষেত্রে দারুন কাজে আসে। প্রসঙ্গত, পোড়া দাগ মেটাতেও পিঁয়াজের কোনও বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে টানা কয়েক সপ্তাহ ক্ষতস্থানে পেঁয়াজ ঘষলেই দেখবেন কেল্লাফতে!

২. চুলকানির দফারফা হয়: মশা কামড়াক কি মৌমাছি, নো পরোয়া! কারণ হাতের কাছে পিঁয়াজ আছে না! আর কি চাই। এবার থেকে হাত-পা চুলকালেই একটু পিঁয়াজ ঘষে দেবেন। তাহলেই দেখবেন কষ্ট কমে গেছে। আসলে পেঁয়াজ তার শরীরে র

৩. কানের যন্ত্রণা কমায়: ঘড়ি ধরে মাত্র ১৫ মিনিট কয়েক টুকরো পেঁয়াজ পুড়িয়ে নিন প্রথমে। তারপর সেই ভাজা পেঁয়াজ থেকে ধীরে ধীরে রসটা সংগ্রহ করে নিন। সেই রস এক ড্রপ কানে ফেলে দিনে। অল্প সময়ের মধ্যেই দেখবেন ব্যথা ছুট লাগিয়েছে।

৪. নাকের পথ পরিষ্কার করে: বর্ষাকালে সর্দি-কাশি তো লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে নাক দিয়ে জলপ্রপাত তো আছেই! এমন অবস্থায় মুঠো মুঠো অ্যালোপ্যাথি ঔষধি না খেয়ে মাঝারি মাপের একটা পিঁয়াজ কেটে নিন। তারপর সেই পিঁয়াজটার গন্ধ নিতে শুরু করুন। কয়েক মিনিটেই দেখবেন নাকের ব্লকেজ উধাও।

৫. ঠান্ডার মার থেকে বাঁচায়: জ্বালানো গরম ছিল এই কয়েকদিন আগেও। হটাৎ করে দুদিন ধরে তুমুল বারিবর্ষণ। ফলে এক ধাক্কায় তাপমাত্রা নিম্নমুকি। এমন পরিস্থিতিতে জ্বর হওয়া তো অতি স্বাভাবিক ঘটনা। বিশেষত বাচ্চাদের এবং বয়স্কদের। আপনার বাড়িতেও যদি একই অবস্থা হয়ে থাকে, তাহলে কাজে লাগাতে পারেন পিঁয়াজকে। কীভাবে? খুব সহজ! একটা মাঝারি মাপের পিঁয়াজ দু টুকরো করে মাথার কাছে রেখে দিন। তাহলেই চলবে। আর কিছু করতে হবে। দেখবেন কয়েক দিনেই একেবারে চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।

৬. থার্মোমিটারকে দূরে রাখে: মানে! বুঝলেন না কী বলছি। আরে মশাই থার্মোমিটারের প্রয়োজন কখন পরে? জ্বর হলে। একেবারেই! তাই তো বলছি, পিঁয়াজকে যত কাছে রাখবেন, তত থার্মোমিটার দূরে থাকবে। এক্ষেত্রে একটা পিঁয়াদকে দুটুকরো করে দুটো মোজার মধ্যে নিয়ে নিন। তারপর মোজা দুটি পায়ে পরে ঘুমিয়ে পরুন। সকালে উঠে দেখবেন জ্বর পালিয়েছে।

৭. গলার ব্যথায় আরাম দেয়: অল্প করে পেঁয়াজ নিয়ে গরম জলে ফুটিয়ে সেই জলটা ঝটপট পান করে ফেলুন। এমনটা কয়েকবার করলেই দেখবেন গলার ব্যথা কমে গেছে। আসলে পেঁয়াজে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের অন্দরে তৈরি হওয়া যে কোনও ধরনের প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮. নখের উপরের চামড়া তুলে দেয়: অনেকেরই নখের ঠিক উপরে আঙুলের অংশে উল্টো দিকে চামড়া ওঠে। এমনটা হলে খুব কষ্ট হয়। এক্ষেত্রে কম করে এক ঘন্টা যেখানে চামড়া উঠছে সেখানে পেঁয়াজ চেপে রাখুন। সময় হয়ে গেলে দেখবেন পেঁয়াজের সঙ্গে সঙ্গে চামড়াও উঠে এসেছে।

৯. ত্বকের সৈন্দর্য বাড়ায়: পরিমাণ মতো পেঁয়াজের রসে অল্প করে হলুদ মিশিয়ে সেই মিশ্রনটা নিয়মিত মুখে লাগাতে শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই সব দাগ মুছে যাবে। সেই সঙ্গে স্কিনের জেল্লাও বাড়বে।

১০. পিরিয়ডের কষ্ট কমায়: মাসের এই বিশেষ সময়ে যত পারবেন কাঁচা পিঁয়াজ খাবেন। দেখবেন আর কোনও কষ্টই হবে না। আসলে পেঁয়াজ হল প্রকৃতিক পেনকিলার, যা অল্প সময়ে ব্যথা কমাতে দারুন কাজে আসে। তাই তো এই সময় এত উপকারে লাগে।

এই বিভাগের আরো খবর